সাইবার অপরাধ কী?

 প্রশ্ন: সাইবার অপরাধ কী? কীভাবে সাইবার অপরাধে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়, তা সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: সাইবার অপরাধ হলো এমন একধরনের অপরাধ, যা ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের কারণে আমাদের জীবনে অনেক নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হয়েছে, আবার অন্যদিকে সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ নতুন ধরনের অপরাধের জন্ম হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে এ অপরাধগুলো করা হয় এবং অপরাধীরা সাইবার অপরাধ করার জন্য নতুন নতুন পথ আবিষ্কার করেই যাচ্ছে।

নানাভাবে সাইবার অপরাধে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। ইন্টারনেটে ব্যবহৃত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা যদি আমরা সচেতনভাবে গ্রহণ করতে না পারি, তবে এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর মধ্যে একটি হলো স্প্যাম ই-মেইল। এ স্প্যাম ফোল্ডারে নানা ধরনের অপ্রয়োজনীয় এবং উদ্দেশ্যমূলক ই-মেইল আসে, যার মাধ্যমে এ ধরনের অপরাধীদের দ্বারা অনেকেই আক্রান্ত হয়। সাইবার অপরাধের একটা বড় অংশ হলো প্রতারণা। বিশেষ করে নানা সামাজিক যোগাযোগের সাইট। যেমন ফেসবুক, টুইটারে ভুল তথ্যকে বিশ্বাস করে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেটে নিজের পরিচিতি সংরক্ষণ করা না গেলে, নিজেদের ব্যক্তিগত ই-মেইল, মোবাইল নম্বর প্রাইভেসি অবস্থায় না রাখলে সাইবার ক্রিমিনালরা আপত্তিকর বা ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে দিতে পারে এবং এইসব তথ্যের ভিত্তিতে ই-মেইল বা ফেসবুকের মাধ্যমে হুমকিও প্রদর্শন করতে পারে। যেহেতু এখানে কেউ কাউকে সামনাসামনি দেখতে পায় না, তাই একজন আরেকজনকে হুমকি প্রদর্শন সহজ হয়ে যায়। এ ছাড়া বড় আকারে তা দেশের মানহানিরও কারণ হতে পারে। এটি একটি নতুন ধরনের অপরাধ। এ ব্যাপারে তাই সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন।


প্রশ্ন: হ্যাকারের প্রকারভেদ লেখো।

উত্তর: যারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বা ব্যবহারকারীর বিনা অনুমতিতে তার কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে, তাদের কম্পিউটার হ্যাকার বলা হয়। 

হ্যাকারদের বিভিন্ন দলে ভাগ করা হয়। যথা:

১. হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার

২. ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার ও

৩. গ্রে হ্যাট হ্যাকার।


নিচে এদের সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হলো:

হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার: কোনো সিস্টেমের উন্নতির জন্য সেটির নিরাপত্তা ছিদ্রসমূহ খুঁজে বের করে। এদের এথিক্যাল হ্যাকারও বলা হয়।

ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার: অসৎ উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের ক্ষতি করে থাকে।

গ্রে হ্যাট হ্যাকার: নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল করে কম্পিউটারকে ক্ষতি করে থাকে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url