১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য (নমুনা PDF সহ) | MCQ Sir

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্যঃ আপনি কি ১৫ আগস্ট শোক দিবসের জন্য বক্তব্য, প্রবন্ধ কিংবা রচনা খুঁজছেন? তাহলে আজকের এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হবে আশা করি। আজকের নিবন্ধে আপনি পাবেন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর জন্য বক্তব্য সাথে থাকছে পিডিএফ কপি যেটা প্রিন্ট করে আপনি বক্তব্য প্রদানের সময় ব্যাবহার করতে পারবেন। তাই আশা করি আপনি সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়ে দেখবেন। 

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য কেন প্রয়োজন ?

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য প্রয়োজন কারন আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সম্পর্কে তাদেরকে জানাতে আমরা বক্তব্য প্রদান করে থাকি। আবার বিভিন্ন প্রতিযোগিতার প্রয়োজনেও এই ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য টি আপনার কাজে দিবে। 

প্রথমে আমরা এখানে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য টি লিখে দিয়েছি। এবং আপনাদের সুবিধার্থে এই বক্তব্যটির শেষে পিডিএফ ফাইল টি যুক্ত করে দিয়েছি।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য নমুনা :


তুমি বাংলার ধ্রুবতারা,

                   তুমি হৃদয়ের বাতিঘর।

আকাশে বাতাসে বজ্র কন্ঠ,

                তোমারি কণ্ঠস্বর।


“বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ” - এ যেন একে অপরের প্রতিশব্দ। নিপীড়িত বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে যখন কালো মেঘের ঘনঘটা ঠিক তখনই বাংলার অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয় সরবকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নেতা, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান”, তার অসামান্য দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি বাংলাদেশ, পেয়েছি নতুন একটি পতাকা, নতুন মানচিত্র এবং স্বাধীনতার স্বাদ। উন্নত রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট কে সততার সঙ্গে সাধারণ জীবন যাপন করতে দেখলে আমরা খুশি হই। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ছাড়া স্বাভাবিক ঘোরাফেরা, সাধারণ জনগণের কাছে যাওয়া আসা থাকলে আমরা তাদের জনপ্রিয় নেতা হিসেবেই স্বাগত জানাই, আর এসব গুণাবলী ছিল আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে। 


1920 সালের 17 মার্চ বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মা সায়রা খাতুন এর কোল আলো করে যখন তিনি জন্মগ্রহণ করলেন তখন হয়তো কারোরই জানা ছিল না, এই শিশুই একদিন তার একটি তর্জনের ইশারায় সমস্ত বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মধ্যে উজ্জীবিত করবেন। দীর্ঘ ২১ বছরের পরাধীনতার বেড়াজাল ভেঙে দিয়ে অদম্য সাহসিকতা ও অগাধ দেশপ্রেম দিয়ে তিনি রচনা করেন একের পর এক বাঙালির ইতিহাস। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ, ১৯৬৬ সালে লাহোর বাঙালির মুক্তির সনদ, 6 দফা দাবি পেশ, 1969 সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ এবং সর্বোপরি 1971 সালে ঘটে যাওয়া নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয় মহান মুক্তিযুদ্ধ, প্রতিটি ঘটনায় স্মরণ করিয়ে দেয় যে তিনি ছিলেন বাঙালি স্বাধীনতার আন্দোলনের প্রাণপুরুষ। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষনে দেশ মাটি ও মাতৃকার মুক্তির যে আহ্বান দিয়েছিলেন তা গোটা পৃথিবীর স্বাধীনতাকামি মানুষের নিকট অমর হয়ে থাকবে। 2017 সালের 30 অক্টোবর, ইউনেস্কো ৭ই মার্চ এর ১৮ মিনিটের এই ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ বা প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দান করেন। 


যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু প্রত্যাবর্তন করে সোনার বাংলা গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। স্বাধীনতার বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা, যোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা অবকাঠামো, প্রশাসন ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তার যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের ফলে দ্রুত দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসে। সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হয় বাংলাদেশ। কিন্তু আমরা বড় অভাগা জাতি এমন একজন বিশ্ব নেতাকে স্বাধীনতার মাত্র চার বছরের মাথায় সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল লজ্জার বিষয় পরাধীন বাংলার মাটিতে পাকিস্তানিরাও সাহস করেনি অথচ স্বাধীন দেশের মাটিতে কিছু বিপথগামী সৈন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধু যে চেতনা নিয়ে সোনার বাংলা গড়ার জন্য ১৯৭২ সালের ১২ ই জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তা 1975 সালের 15 ই আগস্ট তার স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার মাধ্যমে বিনষ্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশ হারায় তার জাতির স্থপতিকে, আর বিশ্ব হারায় অবিসংবাদিত নেতা কে। 

কলঙ্ক তো এখানেই শেষ নয়, সভ্য দুনিয়াতে যেখানে খুনের বিচার হয়, কিন্তু সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশ খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। খুনিদের যাতে বিচার না হয় সেজন্য ১৯৭৫ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর স-ঘোষিত রাষ্ট্রপতি মোস্তাক আহমেদ, ‘ইনডেমনিটি’ আধ্যাদেশ জারি করেন। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ টানা ২১ বছর এই কাল অধ্যাদেশ বহাল ছিল। পরবর্তীতে শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জাতীয় সংসদে, ‘ইনডেমনিটি’ আইন বাতিল করা হয় এবং দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার কার্য সম্পন্ন করা হয়। তবুও আজ প্রশ্ন জাগে মনে,  একজন মানুষ দেশকে কতটা ভালবাসলে বলতে পারেন ‘আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমি আমার দেশের মানুষকে ভালোবাসি, আর আমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা আমি তাদের খুব বেশি ভালোবাসি’। তবুও শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এদেশের একদল মানুষ তাদের বুকের মধ্যে খুব সযত্নে বঙ্গবন্ধু লালন করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর দৈহিক মৃত্যু হলেও তার আদর্শকে ধারণ করে আজ বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকা আকাশচুম্বী। তার সুযোগ্য কন্যা আমাদের দেশের যোগ্য জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই আমরা জয় করেছি সুবিশাল পদ্মা, বাস্তবায়ন করেছি মেট্রোরেল, স্বপ্ন দেখেছি রংপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সারখানা প্রজেক্টসহ বড় বড় মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের। আজ শোকের মাসের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের আসলে যতদিন থাকবে বাংলাদেশ ততদিন থাকবে বঙ্গবন্ধু। আমাদের উচিত তার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই দেশকে ভালোবাসা দেশের এই উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখা তবেই হয়তো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবিক রূপ লাভ করবে, “জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”


১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য পিডিএফ নামিয়ে নিন :

এখানে আমরা ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য তুলে দিয়েছি, কিন্তু এখান থেকে দেখে দেখে আপনার বক্তব্য প্রদান করা অসুবিধা হতে পারে বলে আমরা পিডিএফ ফাইল করে দিয়েছি। নিচের দেওয়া বাটনটি ক্লিক করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেই আপনি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য পিডিএফ ফাইলটি নামিয়ে নিতে পারবেন। 


১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য পিডিএফ :

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য PDF

Click Here to Get it...


আশা করি আপনি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য পিডিএফ ফাইলটি সংরক্ষন করতে পেরেছেন। যদি কোন সমস্যা হয় আমাদের কে কমেন্ট করে জানাবেন

প্রিয় পাঠক এই সুন্দর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর জন্য বক্তব্য টি তৈরি করেছেন সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনুশ্রী বিশ্বাস। তিনি স্নাতক পদার্থ বিজ্ঞানের একজন শিক্ষার্থী। ১৫ আগস্ট এর জন্য নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস তুলে ধরতে এই বক্তব্যটি প্রস্তুত করেন তিনি।


Written by :

Anushree

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url