৭ম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৩

৭ম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৩

৭ম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৩


৭ম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৩ :

 প্রিয় শিক্ষক, আপনি ইতোমধ্যেই জানেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে বছরে দুইটি সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত রাখা হয়েছে, যার মধ্যে একটি ইতোমধ্যে বছরের শুরুর ছয় মাসের শিখন কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে পরিচালনা করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় বাংলা বিষয়ের বাৎসরিক মূল্যায়ন কীভাবে পরিচালনা করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেয়া আছে।

শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার উপর ভিত্তি করে আপনারা মূল্যায়ন করেছেন। যান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি এসাইনমেন্ট বা কাজ শিক্ষার্থীদের সম্পন্ন করতে হয়েছে, বাৎসরিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও অনুরূপ একটি নির্ধারিত কাজ/ এসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীরা সমাধান করবে।

৭ম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৩

এই কাজ চলাকালে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, কাজের প্রক্রিয়া, ফলাফল, ইত্যাদি সবকিছুই মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে। মূল্যায়নের নির্ধারিত কাজ/ এসাইনমেন্ট শুরু করে এই কার্যক্রম চলাকালে বিভিন্নভাবে আপনি শিক্ষার্থীকে সহায়তা দেবেন, তবে কাজের প্রক্রিয়া কী হবে বা সমস্যা সমাধান কীভাবে করতে হবে তা শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে। কাজের বিভিন্ন ধাপে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকে আপনি শিক্ষার্থীর অর্জনের মাত্রা কীভাবে নিরূপণ করবেন, তার বিস্তারিত নির্দেশনা পরবর্তী অংশে দেয়া আছে।

শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই বাংলা বিষয়ের শিখনকালীন মূল্যায়ন চলমান আছে, যা শিখন অভিজ্ঞতাসমূহের বিভিন্ন ধাপে আপনারা পরিচালনা করছেন। এই মূল্যায়নের একটা বড় অংশ হলো শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ফিডব্যাক প্রদান, যার মূল উদ্দেশ্য তাদের শিখনে সহায়তা দেয়া। এই চলমান মূল্যায়নের তথ্য শিক্ষার্থীর পাঠ্যবই, তাদের করা বিভিন্ন কাজের নমুনা যেমন: পোস্টার, মডেল, প্রশ্নপত্র, প্রতিবেদন ইত্যাদির মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছে।


এর বাইরেও বছর জুড়ে প্রতিটি শিখন অভিজ্ঞতা শেষে নির্ধারিত পারদর্শিতার নির্দেশক ব্যবহার করে আপনারা শিখনকালীন মূল্যায়নের তথ্য রেকর্ড রেখেছেন। এছাড়া ষান্মাসিক মূল্যায়নের সময় নির্ধারিত কাজের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকের সাহায্যে আপনারা মূল্যায়নের তথ্য রেকর্ড করেছেন। পরবর্তীতে শিখ্যকালীন মূল্যায়নের চও ইনপুট এবং ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের চও ইনপুট এর সমন্বয়ে আপনারা ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করেছেন।

ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের মতোই বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করবে এবং তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকসমূহ ব্যবহার করে তার মূল্যায়নের তথ্য রেকর্ড করতে হবে। এই মূল্যায়নের তথ্যের সাথে ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ট্রান্সক্রিপ্ট এবং বাকি শিখন অভিজ্ঞতাগুলোর শিখনকালীন মূল্যায়নের চ১ ইনপুট এর সমন্বয় করে শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত ট্রান্সক্রিপ্ট ও রেকর্ড প্রস্তুত করতে হবে।

সাধারণ নির্দেশনা

শুরুতেই ষান্মাসিক মূল্যায়নের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দিয়ে বাংলা বিষয়ের বাৎসরিক মূল্যায়ন কীভাবে পরিচালিত হবে তার নিয়মাবলি শিক্ষার্থীদের জানাবেন। এই মূল্যায়ন চলাকালে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রত্যাশা কী সেটা যেন তারা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে। সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত কাজটি ভালোভাবে বুঝে নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিন যাতে সবাই ধাপগুলো ঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারে।

শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক মূল্যায়নের জন্য প্রদত্ত কাজটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে সর্বমোট তিনটি সেশন বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম দুইটি সেশনে ৯০ মিনিট করে, এবং শেষ সেশনে দুই ঘণ্টা (বা বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা অনুযায়ী) সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কাজগুলো শেষ করবেন। তবে শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক বেশি হলে শিক্ষক শেষ সেশনে কিছুটা বেশি সময় ব্যবহার করতে পারেন।


শুরুতেই ষান্মাসিক মূল্যায়নের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ের বাৎসরিক মূল্যায়ন কীভাবে পরিচালিত হবে তার নিয়মাবলি শিক্ষার্থীদের জানাবেন। এই মূল্যায়ন চলাকালে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রত্যাশা কী সেটা যেন তারা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে। সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত কাজটি ভালোভাবে বুঝে নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিন যাতে সবাই ধাপগুলো ঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারে।

বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য সমগ্র বিষয়ের উপর কিছু কার্যক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে যার মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট শিখন কার্যক্রমের চও গুলোকে ফোকাস করে মূল্যায়ন করবেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চও এর মাত্রা অনুযায়ী প্রমানক আচরণ পর্যবেক্ষণ করে মূল্যায়ন সম্পাদন করবেন।

সুরক্ষা বিষয়ের মূল্যায়ন সম্পন্ন করার জন্য তিনটি কার্যদিবস বরাদ্দ করা হয়েছে যার প্রতিটির জন্য সময় ৯০ মিনিট। নির্ধারিত পারদর্শিতার নির্দেশক অনুযায়ী এই তিন দিনেই (১ম, ২য় ও তৃতীয় মূল্যায়ন দিবসে) শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অর্জিত যোগ্যতা যাচাই করবেন।

প্রথম দিবস: ১.৫ ঘন্টা বা ৯০ মিনিট (দুইটি সেশন ৪৫ মিনিট করে)
দ্বিতীয় দিবস: ১.৫ ঘন্টা বা ৯০ মিনিট (দুইটি সেশন ৪৫ মিনিট করে)
তৃতীয় দিবস অর্থাৎ মূল্যায়ন উৎসবের দিবস : ২-৩ ঘন্টা
শিক্ষার্থীদের প্রতিটি কাজ মূল্যায়নের প্রমাণক হিসেবে সংরক্ষণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ কাজ সেশন চলাকালেই করবে, বাড়িতে গিয়ে করার জন্য খুব বেশি কাজ না রাখা ভালো। মনে রাখতে হবে এই পুরো প্রক্রিয়া যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক চাপ সৃষ্টি না করে এবং পুরো অভিজ্ঞতাটি যেন তাদের জন্য আনন্দময় হয়।


উপস্থাপনে যথাসম্ভব বিনামূল্যের উপকরণ ব্যবহার করতে নির্দেশনা দেবেন, উপকরণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অভিভাবকদের যাতে কোনো আর্থিক চাপের সম্মুখীন হতে না হয় সেদিকে নজর রাখবেন। শিক্ষার্থীদের মনে করিয়ে দিন, মডেল/পোস্টার/ছবি/ ডায়েরি/ প্রতিবেদন ইত্যাদির চাকচিক্যে মূল্যায়নে হেরফের হবে না। বরং বিনামূল্যের বা স্বল্পমূল্যের উপকরণ, সম্ভব হলে ফেলনা জিনিস ব্যবহারে উৎসাহ দিন।

বাৎসরিক মূল্যায়ন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য যেসব বিষয় অনুসরণ করতে হবে:


বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের রুটিন অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে মূল্যায়নের আয়োজন করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, সক্রিয়তা, পরিকল্পনা এবং প্রতিটি কার্যক্রম সুচারুভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের নিজের কাজগুলো নিজে করার বিষয়ে সতর্ক করতে হবে অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থীর প্রতিবেদন অন্যজন কপি করছে কিনা তা তদারকি করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের কাজ সময়মতো জমা নিতে হবে এবং জমা দেওয়া কাজের কপি যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে।
পর্যবেক্ষণ এবং যাচাই করার সময় সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকগুলো (Performance Indicator- PI) শনাক্ত করে উক্ত পি আই এর মাত্রা (পরিশিষ্ট ১ অনুযায়ী) নির্দিষ্ট করতে হবে।
বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সময় উপযুক্ত পারদর্শিতার নির্দেশক অনুযায়ী প্রতি শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন রেকর্ড ( পরিশিষ্ট ২ অনুযায়ী) রাখতে হবে।
শিখনকালীন ও বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত পারদর্শিতার নির্দেশককে সমন্বয় করে ট্রান্সক্রিপ্ট এর ফরম্যাট অনুসরণ করে ( পরিশিষ্ট ৩ অনুযায়ী) ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করতে হবে।
শিখনকালীন মূল্যায়নের সমন্বয়ে বাৎসরিক রিপোর্ট কার্ড (পরিশিষ্ট ৬ অনুযায়ী) তৈরি করতে হবে।
বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত শিখন যোগ্যতাসমূহ
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিখন অভিজ্ঞতা চলাকালে ইতোমধ্যে এই শ্রেণির জন্য নির্ধারিত সকল যোগ্যতা চর্চা করার সুযোগ পেয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে বাৎসরিক মূল্যায়নের জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতাসমূহ নির্বাচন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী অর্পিত কাজটি সাজানো হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক শিখন যোগ্যতাসমূহ

৭.১: সুস্থ, পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ, উৎফুর ও স্বতঃস্ফূর্ত থাকতে নিজের দৈনন্দিন যতœ ও পরিচর্যা করতে পারা এবং এ সংক্রান্ত ঝুঁকিসমূহ নির্ণয় ও মোকাবিলা করতে পারা।

৭.৩: প্রেক্ষাপট অনুযায়ী নিজের অনূভূতির অনুধাবন করে ও যতœবান হয়ে ফলাফলধর্মী প্রকাশ করতে পারা এবং অন্যের অনুভূতি ও পরিস্থিতিকে অনুধাবন করে সহমর্মী আচরণ করতে পারা।

৭.৪: নিজের ও অন্যের সফলতাকে সম্মান করে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা এবং আত্ম- বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে মানসিকচাপ, দুঃখ, ভয়, রাগ ইত্যাদির ব্যবস্থাপনা করতে পারা।

৭.৫: পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণপূর্বক নিজের ও অন্যের বাচনিক ও অবাচনিক প্রকাশভঙ্গি, এবং তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে যোগাযোগ করতে পারা।

৭.৬: পারস্পরিক সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা, সবলতা ও ঝুঁকি নির্ণয় করে প্রয়োজন অনুয়ায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ, নিরাপদ ও চাপমুক্তভাবে বিভিন্ন সম্পর্ক বজায় রাখতে বা ছিন্ন করতে পারা।

প্রথম দিবস: (৯০ মিনিট)

  • প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা একটি প্রতিযোগিতামূলক দাঁড়িয়াবান্ধা/বউচি /গোল্লাছুট/ব্যাডমিন্টন খেলায় অংশগ্রহণ করবে।
  •  যেসব বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই সেখানে হলরুম/বড় শ্রেণিকক্ষে খেলার কোর্ট এঁকে কম সংখ্যক খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণে খেলা অনুষ্ঠিত হতে পারে।
  • প্রতিবন্ধীতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা অন্য সবার সাথে একইভাবে খেলায় অংশগ্রহণ করতে করবে। সে ক্ষেত্রে সবাই মিলে খেলার জন্য খেলার গতি কিছুটা কমিয়ে দিয়ে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
  • প্রতিন্ধীতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী থাকলে যে কোনো খেলার আয়োজন করা যেতে পারে যাতে শারীরিক কসরত ও উপভোগের এর সুযোগ থাকে।

প্রথম দিবস মূল্যায়নের জন্য প্রস্তুতি

মূল্যায়নের প্রথম দিনে খেলায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুপাতে দলে ভাগ করার জন্য একটি পরিকল্পনা করে রাখবেন।

  • দাঁড়িয়াবান্ধা/বউচি/গোল্লাছুট/ব্যাডমিন্টন খেলার সরঞ্জামসহ প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন।
  • আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে এমন ১/২ জন শিক্ষককে আগে থেকে বলে রাখতে পারেন।
  • যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহপাঠ শিক্ষা-কার্যক্রম (ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থী একই সাথে পড়ে) চালু রয়েছে সেখানকার
  • স্থানীয় সামাজিক পরিবেশের উপর ভিত্তি করে ছেলে ও মেয়েদের পৃথক দলের খেলা অনুষ্ঠিত হতে পারে।
  • শ্রেণিতে কোন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী থাকলে খেলায় তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রতিবন্ধীতার ধরণ অনুযায়ী উপরে উল্লেখিত খেলা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মনে রাখবেন, এখানে খেলার মূখ্য উদ্দেশ্য নিয়ম কানুন মেনে প্রতিযোগিতায় জেতা নয় বরং সবার অংশগ্রহণের ধরণ পর্যবেক্ষণ করা যাতে সংশ্লিষ্ট PI এর আলোকে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার মূল্যায়ন করা যায়। এখানে খেলার শুরুতে প্রস্তুতি যেমন ওয়ার্ম আপ, দূর্ঘটনা ঘটলে কী করবে তার প্রস্তুতি রাখা, খেলা শেষে কুল ডাউন করা সহ অন্য যোগ্যতাগুলোর পারদর্শিতার মাত্রা যাচাইয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

  1. পারদর্শিতার নির্দেশক (PI) ও তার মাত্রাগুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে বুঝে নেবেন।
  2. শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার রেকর্ড রাখার জন্য ডায়েরি বা ফরম্যাটের ফটোকপি প্রস্তুত রাখবেন।

প্রথম দিবসের মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা

  • কুশল বিনিময় করুন।
  • পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠে বা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে দলে ভাগ করুন এবং খেলায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
  • খেলা চলাকালীন সময়ে আপনি শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতা ও মাত্রা পর্যবেক্ষণ করবেন।
  • ডায়েরি বা ফরম্যাটে সূচক অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার মাত্রা যাচাই করবেন এবং রেকর্ড লিখে রাখুন।
  • দ্বিতীয় দিনের মূল্যায়নে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করুন।

Post a Comment

0 Comments