শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বক্তব্য | ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস বক্তৃতা /ভাষন | শেখ রাসেল কে নিয়ে বক্তব্য

শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বক্তব্য [ PDF Download ] | ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস বক্তৃতা /ভাষন | শেখ রাসেল কে নিয়ে বক্তব্য

শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বক্তব্য

শেখ রাসেল দিবস পালন উপলক্ষে (সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত/ এখানে সংস্থার নাম হবে) সবার শ্রদ্ধাভাজন সভাপতি (এখানে নাম পদবী হবে)। মান্যবর প্রধান অতিথি (এখানে নাম পদবী হবে। বিশেষ অতিথি (এখানে নাম পদবী হবে)।

উপস্থিত সুধী আসসালামু আলাইকুম/ বা যার যে ধর্মে মিনিং তা বলতে পারেন।

সময়টা ছিল লড়াই আর যুদ্ধের উত্তেজনায় মুখর। ১৯৬৪ সাল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ঘটে চলেছে ঐতিসাহিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সমগ্র পাকিস্তান জুড়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডামাডোল। একদিকে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান, অন্যদিকে সম্মিলিত বিরোধীদলের প্রার্থী কায়েদে আজম মুহম্মদ আলী জিন্নার বোন ফাতেমা জিন্নাহ । অনিশ্চয়তা আর অন্ধকারের মাঝেও এ অঞ্চলের মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখছে। যিনি এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে বাঙালি জাতিকে এনে দেবেন মুক্তির স্বাদ তাঁর ঘর আলো করে জন্ম নিল এক ছোট্ট শিশু।

আরও পড়ুন : শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে রচনা,বক্তব্য,কবিতা,গল্প ২০২৩

১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবরে ধানমণ্ডির বিখ্যাত ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িটি আলোকিত করে জন্ম নিল শেখ রামেলারামেল নামটি রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তাঁর প্রিয় লেখকের নামের সাথে মিলিয়ে। শেখ রাসেল ছিলেন ভীষণ দুরন্ত। তাঁর দুরন্তপনার সঙ্গী ছিল বাই-সাইকেল। তিনি রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ছাড়াই মাইকেলে করে স্কুলে যেতেন পাড়ার আর দশজন সাধারণ ছেলের মতো। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মাত্র ১১ বছর বয়সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্যান্য সসদ্যদের সঙ্গে ঘাতক খুনীদের হাতে হত্যার শিকার হন তিনি।

পৃথিবীতে যুগে যুগে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কিন্তু এমন নির্মম, নিষ্ঠুর এবং পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড কোথাও ঘটেনি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে রামেলকে নিয়ে পালানোর সময় ব্যক্তিগত কর্মচারীসহ রাসেলকে আটক করা হয়। আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন, 'আমি মায়ের কাছে যাব।” পরবর্তী সমমে লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন, 'আমাকে হাসু আপার (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠিয়ে দিন।”

মা, বাবা, দুই ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, চাচা সবার লাশের পাশ দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে সবার শেষে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করল রামেলকে। ওই ছোট্ট বুকটা কি তখন ব্যথায় কষ্টে বেদনায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল?

যাদের সান্নিধ্যে স্নেহ-আদরে হেসে খেলে বড় হয়েছে তাদের নিথর দেহগুলো পড়ে থাকতে দেখে ওর মনের কী অবস্থা হয়েছিল, কী কষ্টই না ও পেয়েছিল! 

শিশু রাসেলকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্যতম অপরাধ করেছে । এ ধরনের নিষ্ঠুর 'মাসি কিলিং' শুধু রাসেলের জীবনকেই কেড়ে নেয়নি, সে সাথে ধ্বংস করেছে তাঁর সকল অবিকশিত সম্ভাবনা।


শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বক্তব্য PDF Download :

Click Here To Download 


Credit:- 

এই ভাষনটি সবার সুবিধার জন্য YouTube থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। 


Tag:শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বক্তব্য,  ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস বক্তৃতা /ভাষন, Sheikh Rasel Dibosh Lecture

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url